স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালালেন স্বামী

ঝিকরগাছা প্রতিনিধি

যশোরের ঝিকরগাছার গদখালী ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল দফাদারের ছেলে জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী মাসুরা খাতুনকে (৩৫) শ্বাসরোধে হত্যার পরে ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নিহতের খালাতো ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নয় বছর আগে জাহিদুলের সাথে আমার বোনের বিয়ে হয়। দু’জনেরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। তাদের ৭ ও ৩ বছরের দুটি ছেলে রয়েছে। জাহিদুল নেশাগ্রস্ত ও মাদক ব্যবসায়ী। বিয়ের পর থেকেই সে আমার বোনের উপর শারীরিক নির্যাতন করতো। মাঝে মাসুরা নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে জাহিদুলকে কোর্ট তালাক করে। পরবর্তীতে এলাকার লোকজনের মাধ্যমে তিন মাস আগে আবারও মাসুরাকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে জাহিদুল।

গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে আবার বেদম মারপিট করে। রাত ১২ টার দিকে জাহিদুল আমাকে ফোন দিয়ে বলে, মাসুরা গলায় দড়ি দিয়ে মারা গিয়েছে। সকালে এসে দেখি মাসুরার লাশ খাটের ওপর হাটু মোড়ানো অবস্থায় ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ঝোলানো আছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো তাকে হত্যার করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে ঝিকরগাছা থানা পুলিশের একটি দল জাহিদুলের বসতবাড়ি থেকে মাসুরার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে থানায় নিয়ে আসে। এলাকাবাসীর ধারণা জাহিদুল মাদকাসক্ত হওয়ায় গতরাত ১২টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে যে কোন সময়ে স্ত্রীকে হত্যা করে ওড়না দিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ গাজী বলেন, লাশের অবস্থান দেখে প্রাথমিক ভাবে এটাকে হত্যাকান্ড বলেই ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন